আজকে আমরা কথা বলব অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর ৭টি উপায় নিয়ে। আপনি হয়তো জানেন না, আপনার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় কতজন উৎসাহিত হতে পারে নতুন সূচনার।
আপনি যদি কারো মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেন,হয়তো তার দিনটি আপনার জন্য বিশেষ হয়ে উঠবে।এর জন্য আপনার তেমন কোনো অর্থ বা সময় ব্যয় করতে হবে না। প্রকৃত পক্ষে আপনার ইচ্ছা শক্তি পারে কারো দিন কে বিশেষ করে তুলতে।তাই চেষ্টা করুন নিম্নোক্ত ৭টি উপায় থেকে এক বা একাধিক উপায় ব্যবহার করে আপনার বিশেষ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে।
০১. নিজের হাতে লিখা কোনো শুভেচ্ছা বার্তা উপহার দিয়ে খুশি করতে পারেন আপনার বিশেষ মানুষটিকে। বর্তমানে ব্যস্তার এই যান্ত্রিক যুগে সবার সুখ দুঃখ সব টেক্সট মেসেজ বা ই-মেইল এ সীমাবদ্ধ। আপনি যদি কাউকে নিজে হাত কিছু উপদেশমূলক/শুভেচ্ছামূলক কিছু বার্তা লিখে পাঠান তবে তা ঐ মানুষটির কাছে স্মরনীয় হয়ে থাকবে।
০২. যদি আপনি কোন বন্ধুকে খুশি করতে চান তবে তার সাথে ঘুরতে যান অথবা তাকে বাসায় আমন্ত্রণ জানান। এতে আপনারা একে অপরকে আরো ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন। সম্ভব হলে কয়েকজন বন্ধু মিলে কোথাও বেড়াতে যেতে পারেন। এতে নতুন অভিজ্ঞতার সাথে বন্ধুত্ব ও দৃঢ় হবে।
০৩. কাউকে উপদেশমূলক কোনো বই উপহার দিতে পারেন।সে বইটি পরে উপকৃত হবে এবং আপনাকে নিজের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে মনে করবে।
০৪. যদি আপনার কোনো বন্ধু বা আত্মীয় সন্তানের মা-বাবা হয়ে থাকে তবে তার বাচ্চাটি কিছু সময়ের জন্য কোলে নিয়ে তাকে বিশ্রামের সুযোগ করে দিতে পারেন। এতে সে নিশ্চিন্তে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করতে পারবে/কোনো জরুরি কাজ করতে পারবে।
০৫. আপনার পরিচিত অসুস্থ কাউকে খাবার দিয়ে সাহায্য করতে পারেন। অসুস্থ অবস্থায় তাকে দৈনন্দিন কাজকর্মে ও সহযোগিতা করতে পারেন। এতে সে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে।
এছাড়া এমন কাউকে টাকা/খাবার দিয়ে সাহায্য করতে পারেন তার পরিবার কিছুটা খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ।
০৬. এমন কাউকে সাহায্য করুন তিনি লোকলজ্জার ভয়ে সাহায্য চাইতে পারছেন না। কোনো বিনিময় ব্যতিত তাকে সাহায্য করলে, আপনার জন্য তার দিনটি ভালো কাটবে।
০৭. আপনাকে সাহায্যকারী প্রতিটি ব্যক্তিকে ধন্যবাদ জানান। আপনার বাবা, মা, ভাই, বোন, আত্মীয় স্বজন, গৃহ পরিচারিকা প্রত্যেককে ধন্যবাদের সাথে বলুন তাদের কাছে আপনি কৃতজ্ঞ। আপনার জীবনের ছোটখাট কাজে তারা জড়িত যেমন রিক্সাচালক, দোকানদার, ট্রাফিক পুলিশ,পিয়ন তাদেরকেও ধন্যবাদ জানান। এতে তারা খুশি হয় এবং কাজে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
প্রকৃত অর্থে কাউকে খুশি করার জন্য ধরাবাঁধা কোনো পন্থা হয় না। উপরের পন্থাগুলো আপনার সহায়ক মাত্র। কাউকে খুশি করার মধ্যে রয়েছে স্বর্গীয় সুখের অনুভুতি, যা আপনার মুখেও হাসি ফোটাতে পারে। অন্তরের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সাহায্য করে।