আদার বোটানিক্যাল নাম "জিঞ্জিবার অকিসেনেল রকস" আদা আমাদের প্রত্যেকের কাছে পরিচিত আমরা তরকারির স্বাদ বাড়াতে প্রত্যেকে ব্যবহার করে থাকি। তবে অথর্ববেদে বৈদিক কল্পে আদার সম্বন্ধে বলা হয়েছে আদা আমাদের শরীরের তিনটি অগ্নি অগ্নি বল বাড়ায়।এই তিনটি অগ্নি গুলো হচ্ছে- কায়াগ্নী,অন্তরাগ্নি,বহিরাগ্নী।সাধারণ ভাষায় আমরা থাকে বলে থাকি শুট এবং বৈদিক বা সংস্কৃত ভাষায় বলা হয় বিশ্ব। বৈদিক যুগে আদাকে বলা হতো ভক্ষণকারী। আধা খাদ্যবস্তু সুপাচ্য করেও জীর্ণ হয়। তাই আমরা বিশেষ করে মাছ মাংসে আদা বেশি পরিমাণে ব্যবহার থাকি। আধার মধ্যে কয়েকটি রাসায়নিক পদার্থ ছাড়া লবণ পটাশিয়াম ভোলাটাইল অয়েল ইত্যাদি পদার্থ থাকে।

আদার গুনাগুন কি?

বমি বমি ভাব দূর করতে: অনেক সময় আমাদের দেহে অস্থিরতা কাজ করে, তখন কোন কিছু খেলেই বমি বমি ভাব লাগে। তখন আপনি যদি আদা কাঁচা চিবিয়ে খান অথবা আদার রসের সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে খান তবে তাৎক্ষণিক ফল পাবেন।

ব্যথা সারাতে: দেহের কোথাও কেটে গেলে বা ব্যথা হলে আদা ভালো করে ধুয়ে মিহি করে বেটে সামান্য লবণ দিয়ে হালকা গরম করে ক্ষতস্থানে প্রলেপ দিলে খুব তাড়াতাড়ি ব্যথা সারে। আধার মধ্যে অ্যান্টিইনফ্যামেটরি রয়েছে।এছাড়া আদার রসের সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

গর্ভাবস্থায়: গর্ভাবস্থায় অধিক পরিমাণে আদা খাওয়ার অপরিপক্ক শিশু হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।তাই গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে শেষের তিন মাস আদা খাওয়া এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।